"ফৌজদারী অপরাধ ব্যতীত কারও ধর্ম পরিচয়, জাতিগত এবং নৃতাত্ত্বিক কারণে কেউ ভ্যারিফিকেশনে যেনো বাধাগ্রস্ত না হয়।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ধর্ম, জাতি ও নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের মিলনক্ষেত্র। এখানে সবাই সমান অধিকারের দাবিদার।
যদি অপরাধমূলক কোনো রেকর্ড না থাকে, তবে কারও ধর্মীয় বা জাতিগত পরিচয় তার ভ্যারিফিকেশন বা প্রশাসনিক কাজে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। বিশ্ববিদ্যালয় হবে সবার জন্য সমান সুযোগ ও ন্যায়বিচারের জায়গা।
সমতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের পাঁচ-দফা কর্মপরিকল্পনা
প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে একটি "Equal Verification Policy" চালু করা হবে।
সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে—শিক্ষার্থীর ধর্ম, জাতিগত বা নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ভ্যারিফিকেশনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে না।
একটি "Verification Monitoring Cell" তৈরি করা হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের অভিযোগ করতে পারবেন।
এই সেল সরাসরি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবে এবং দ্রুত সমাধান দেবে।
পোস্টার, সেমিনার ও সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে "Equality in Verification" বিষয়ে সচেতনতা তৈরি।
শিক্ষার্থীদের জানানো হবে তাদের অধিকার কী এবং কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগিতায় একটি Legal Aid Desk খোলা হবে।
কোনো শিক্ষার্থী যদি বৈষম্যের শিকার হন, তাকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রতি বছর ভ্যারিফিকেশন প্রক্রিয়ায় কতজন শিক্ষার্থী যুক্ত হয়েছেন এবং বৈষম্যের কোনো অভিযোগ এসেছে কিনা—সেই বিষয়ে একটি Annual Equality Report প্রকাশ করা হবে।
সমতার নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে
ধর্ম, জাতি বা নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের কারণে কেউ আর ভ্যারিফিকেশনে বৈষম্যের শিকার হবেন না।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের সমানভাবে নিরাপদ ও সম্মানিত মনে করবেন।
ক্যাম্পাসে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত হবে, যা অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াবে।
আপনার ভোটই আপনার কণ্ঠস্বর। আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশ্বাসী হাজার হাজার মানুষের সাথে যোগ দিন।